গোপাল পাঁঠা, Gopal Pantha
গোপাল পাঁঠা
চেনেন এনাকে ? কি বললেন, না। আপনার দোষ নয়। দোষ আমাদের ভাগ্যের। ভারতমাতার এই সুসন্তানের নাম গোপাল মুখার্জী ওরফে গোপাল পাঁঠা। এই নামের কারন মেডিকাল কলেজের উল্টোদিকে কলেজস্ট্রীটে তার একটি বুচার শপ বা পাঁঠা কাটার দোকান ছিল। এখনো আছে সেই দোকান। অনুকূল মুখার্জীর পাঁঠা কাটার দোকান। এই গোপাল মুখার্জী ছিলেন বলে আপনি আছেন, আমি আছি, হাওড়া ব্রিজ আছে, টালার ট্যাঙ্কি আছে, শিয়ালদা স্টেশন আছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আছে আর কলকাতায় বসে এক ইতিহাস অজ্ঞ হিন্দু মহিলা মাথায় হিজাব লাগিয়ে মাঝে মাঝে বড় বড় লেকচার দিতে পারছেন। কিভাবে ? পিছিয়ে যাব অনেক গুলো বছর। ১৯৪৬ সাল। অবিভক্ত বাংলা। দায়িত্ব পেয়েছে মুসলিম লিগ। মুখ্যমন্ত্রীর নাম সুরাবর্দী। তিনি জিন্নার লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তানকে সাকসেস করার জন্য এক কঠিন ষড়যন্ত্র আঁটলেন। ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে - ১৬ আগস্ট ভোরবেলা মুসলমানেরা ধর্মতলা চৌরঙ্গীতে একত্রিত হলেন। শুরু হল হিন্দু কাটা। আল্লাহু আকবর শব্দে ভরে গেল চারিপাশ আর জ্বলতে থাকল হিন্দুদের সম্পত্তি। রাজাবাজারে স্কুলের সামনে চারটি মেয়েকে রেপ করে মেরে উলঙ্গ করে লটকে দেয়া হয়েছিল। সেই বিভৎসতা যে দেখেছে সেই জানে। একই সাথে পূর্ববঙ্গের নোয়াখালিতে চলতে লাগল অত্যাচার। মহিলাদের গনধর্ষন, শরীর থেকে মাংস খুবলে নেয়া। সারা দিন ধরে অজস্র ঘটনার থানায় কমপ্লেন জমা পড়ল কিন্তু পুলিশ কোন স্টেপ নিল না। এভাবে পার হয়ে গেল তিন তিনটা দিন। পরিস্থিতি একই। হিন্দুর লাশে গোটা কলকাতা ভরে গেল। বামপন্থী কিছু নেতা যারা পাকিস্তানের দাবিতে মুসলিম লিগের পাশে দাঁড়িয়েছিল ঘটনার আকস্মিকতায় তারাও স্তম্ভিত হয়ে গেল। না কোন বিজেপি বা আর এস এস এর পেছনে ছিল না। কংগ্রেসের তোষনের রাজনীতিই ছিল এর জন্য দায়ী। আর এই ঘটনা যখন ঘটছে তখন গান্ধী আর জহরলাল ঘাপটি মেরে চুপ করে বসে রইলেন। তিন দিন হিন্দু হত্যার পর ক্ষেপে গেল গোপাল। সে এমন এক অসম লড়াই লড়ল যে সুরাবর্দীর সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল হয়ে গেল। গোপাল আগে থেকেই অরবিন্দের ভাবশিষ্য ছিল। সে ছিল নির্ভিক ডাকাবুকো। একাই দশজনার সাথে লড়ার মত পেটানো শরীর ছিল তার। ৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সে সামিল ছিল। তার কাছে বেশ কিছু অস্ত্র ছিল। কিছু পিস্তল, কিছু বোমা, কিছু সোর্ড। কিন্তু কখনো তা কোন ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটিস এ ব্যবহার করে নি বা করতে দেয় নি গোপাল। রডা কোম্পানীর বন্দুকের দোকান লুঠ করল গোপাল তার দলবলকে নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এদেশে আসা আমেরিকান সৈনিকদের কাছ থেকে বোতল বোতল হুইস্কির বিনিময়ে আরো কিছু অস্ত্র জোগাড় করল গোপাল। তার পর একত্রিত করল প্রায় হাজারখানেক হিন্দু ও শিখ ছেলেকে। কিন্তু তাদের কয়েকটি কড়া নির্দেশ দিল। প্রথমত, অস্ত্রহীন মুসলমানকে মারবে না। উলটে সে প্রটেকশন চাইলে তাকে বা তার পরিবারকে প্রটেকশন দেবে। দ্বিতীয়ত মুসলিম মা বোনেদের দিকে মুখ তুলে তাকাবে না। কিন্তু অস্ত্রধারী মুসলমানকে ছাড়া চলবে না। ধড় থেকে তার মুন্ডু উপড়ানো চাই। মাত্র দু তিন দিনে গোপালের বাহিনীর হাতে এত মুসলমান ঘাতক মরল যে সুরাবর্দীর দরবারে ত্রাহী ত্রাহী রব উঠে গেল। হরেন ঘোষ নামে এক গানের শিক্ষক ছিলেন যিনি সুরাবর্দির বাহিনীর কলকাতার মেজর পয়েন্ট গুলো বোম চার্জ করে উড়িয়ে দেবার ষড়যন্ত্র ধরে ফেললেন। সুরাবর্দীর মেয়েকে তিনি গান শেখাতেন। সেখানে ছোট্ট মেয়েটি একটি কাগজ এনে হাজির করে। উনি প্রথমে বাজে কাগজ বলে মুড়ে ফেলে দেন পরে সেটা নিয়ে চুপ করে গোপালের কাছে তার বৌবাজারের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে হাওড়া ব্রিজ, টালার জল ট্যাঙ্ক, ভিক্টোরিয়া, শিয়ালদা স্টেশন কিভাবে বোম মেরে উড়িয়ে দেবে তার প্ল্যান করা ছিল। গোপালের বাহিনী প্রতিটি জায়গা থেকে হামলাকারীদের হঠিয়ে দিল। পুলিশ বেগতিক দেখে সেই জায়গাগুলোর দখল নিল। সুরাবর্দীর সন্দেহ গিয়ে পড়ল হরেন বাবুর উপর এবং তার প্রান গেল মুসলিম গুন্ডাদের হাতে। তার শরীর কেটে ছয় টুকড়ো করা হয়। কংগ্রেসী নেতারা এতদিন ঘাপটি মেরে ছিল। যেই মুসলমান মরা শুরু হল সেই সবাই বউয়ের আঁচলের তলা থেকে বেড়িয়ে এল। গান্ধী বেড়িয়ে এল শয্যাসঙ্গীনীদের ছেড়ে আর জহরলাল বেড়িয়ে এল এডুইনার বেডরুম ছেড়ে। সবাই মিলে গোপালকে হাজির করল গান্ধীর সামনে। গান্ধী বললেন গোপাল আমার পায়ে তুমি অস্ত্র সমর্পন কর। গোপাল বলল এতদিন এত হিন্দু মরছিল আপনি ঘুমাচ্ছিলেন, আমি আপনার কথা রাখতে পারব না। অস্ত্র যদি জমা দিতে হয়, নেতাজী সুভাষের আসার কথা আছে, ওর পায়ে দেব আপনার পায়ে নয়। বেগতিক দেখে গান্ধী নোয়াখালী পালালো। সুরাবর্দী তখন আপিলের নাটক শুরু করল যে দাঙ্গা বন্ধ কর সবাই ভাই ভাই। প্রশাসন কড়া হল। ধীরে ধীরে সব থামল। বেঁচে গেল কলকাতা। কিন্তু নোয়াখালী বাঁচল না। কারন সেখানে কোন গোপাল পাঁঠা ছিল না। এই মানুষটি ও বেঁচে ছিলেন ২০০৩ সাল পর্যন্ত। তাকে সমঝে চলতেন বিধান রায় সিদ্ধার্থ রায়ের মত লোক ও। একবার কলকাতা পুলিশ তাকে দুটো রুটের পারমিট দিতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, গোপাল মুখার্জী ঘুষ নেয় না। কেউ তাকে নিয়ে লেখে নি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মত অর্ধসত্যবাদী অর্ধেক জীবনধারী সাহিত্যিক দের কাছে আমরা আর কি আশা করতে পারি ? তাকে নিয়ে বায়োপিক ও হবে না। কিন্তু যতদিন হিন্দুস্তান থাকবে, বাংলায় হিন্দুর ভিটে থাকবে, কলকাতা হিন্দুশূন্য না হবে একটা আত্মা এখানে চিরকাল বিরাজ করবে। গোপাল মুখার্জী ওরফে গোপাল পাঁঠা। এই লেখার মাধ্যমে আমার ছোট্ট শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান ভারত সন্তানকে।
----------------------------------------------------------------------
Translate in English
Gopal Pantha
Do you know This man? What he said, no. It's not your fault. Blame it on our destiny. The name of this mother child of Bharatmata is Gopal Mukherjee alias Gopal Pantha. The reason for the name is that he had a butcher shop on College Street opposite the Medical College. There is still that shop. Anukul Mukherjee's goat cutting shop. This is Gopal Mukherjee because you are there, I am here, there is the Howrah Bridge, there is the Talar Tank, there is the Sealdah Station, there is the Victoria Memorial and a historically ignorant Hindu woman sitting in Calcutta can sometimes give big lectures wearing hijab on her head. How? I will go back many years. 1947. Undivided Bengali. The Muslim League has got the responsibility. The name of the Chief Minister is Suravardi. He conspired against Jinnah's son to make Pakistan a success. Direct Action Day - On the morning of 16th August, Muslims gathered at Dharmatala Chowrangi. The beginning is the Hindu cut. Allahu Akbar's words filled the surroundings and the property of the Hindus was burning. In Rajabazar, four girls were raped, beaten and hung naked in front of the school. Anyone who has seen that horror knows. At the same time, atrocities continued in Noakhali, East Bengal. Gang rape of women, taking meat from the body. Complaints were lodged at the police station throughout the day but the police did not take any action. Thus three days passed. The situation is the same. The whole of Calcutta was filled with Hindu corpses. Some leftist leaders who sided with the Muslim League in demanding Pakistan were also stunned by the suddenness of the incident. Neither was behind any BJP or RSS. The politics of flattery of the Congress was responsible for this. And when this was happening, Gandhi and Jaharlal ambushed and sat in silence. After killing the Hindu for three days, Gopal got angry. He fought such an unequal battle that all the plans of Suravardi were thwarted. Gopal was already a disciple of Arvind. He was a fearless dakabuko. He had a beaten body like fighting with ten people alone. He was involved in the Quit India Movement of 1942. He had several weapons. Some pistols, some bombs, some swords. But Gopal never used it or allowed it to be used in any criminal activities. Gopal and his gang looted the Roda Company's gun shop. Gopal procured some more weapons in exchange for a bottle of whiskey from American soldiers who came to the country during World War II. After that he gathered about a thousand Hindu and Sikh boys. But a few of them gave strict instructions. First, do not kill unarmed Muslims. On the contrary, if he wants protection, he will give protection to him or his family. Secondly, Muslim mothers should not look up to their sisters. But it will not work without armed Muslims. I want to uproot his head from the torso. In just two or three days, so many Muslim assassins died at the hands of Gopal's forces that there was an uproar in the court of Suravardi. There was a music teacher named Haren Ghosh who caught the conspiracy of Suravardi's forces to blow up the major points of Kolkata by charging bombs. He used to teach music to Suravardi's daughter. There the little girl brought a paper and presented it. He first wrapped it in waste paper and then quietly took it to Gopal's house in Baubazar. There were plans on how to bomb Howrah Bridge, Talar water tank, Victoria, Sealdah station. Gopal's forces repulsed the attackers from every place. The police took possession of those places after seeing Begatik. Suravardi's suspicion fell on Haren Babu and his life fell into the hands of Muslim thugs. His body was cut into six pieces. Congress leaders had been in ambush for so long. All the Muslims who began to die came out from under the area of his wife. Gandhi left his bedfellows and Jaharlal left Edwin's bedroom. Everyone together presented Gopal in front of Gandhi. Gandhi said Gopal surrender your arms at my feet. Gopal said so many Hindus have been dying for so long you were sleeping, I can't keep your word. If you have to surrender arms, Netaji Subhash is supposed to come, I will give him at your feet and not at your feet. Seeing Begatik, Gandhi fled to Noakhali. Suravardi then started the drama of appeal that stop the riots, all brothers. The administration is tough. Slowly everything stopped. Calcutta survived. But Noakhali did not survive. Because there was no Gopal Pantha. This man also survived until 2003. He was understood by people like Bidhan Roy Siddhartha Roy. Once when the Kolkata police wanted to give him a permit for two routes, he said that Gopal Mukherjee does not take bribes. No one wrote about him. What else can we expect from a half-truthful half-lived writer like Sunil Gangopadhyay? There will be no biopic about him. But as long as there is Hindustan, there will be Hindu Vita in Bengal, Calcutta will not be Hinduless, a soul will exist here forever. Gopal Mukherjee alias Gopal Pantha. My small tribute to this great child of India through this writing.
<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-4954924642538230"
crossorigin="anonymous"></script>
Comments
Post a Comment