পাল্টে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা, The education system is changing
রদবদল শিক্ষা ব্যবস্থা ২০২০
আমাদের দেশ ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল নাকি গতনগতিক, শিক্ষার ভিতটাই নাকি নড়বড়ে। তাই শিক্ষা ব্যবস্থা পাল্টে নতুন মোড় আসতে চলেছে। মুখস্থ বিদ্যার শিক্ষা পরিবর্তন করে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি করতে চলেছে, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্ম শিক্ষা প্রবর্তন করতে চলেছে। শিক্ষার আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে।
পরিবর্তনের কারণ এখনকার ছেলে মেয়েরা মুখস্থ করে পাস করছে। শিক্ষার শিক্ষা কিছুই লাভ করছে না। তাই হতে কলমে শিক্ষা দেবে। শিক্ষার কাঠামো পাল্টানো হচ্ছে। কি কি পরিবর্তন করা হচ্ছে সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।
তথ্য অনুযায়ী পরিবর্তন গুলি হলো:-
১. যে শিক্ষা মন্ত্রালয়ের নাম ১৯৮৫ সালের আগে ছিল তাই করা হয়। ১৯৮৫ এর মানব উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে হল শিক্ষামন্ত্রক। স্বাধীনতার পর থেকে এই নামেই পরিচিত ছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
২. নতুন শিক্ষানীতিতে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার। এর আওতায় আনা হয়েছে ৩ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের।
৩. নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে গুরুত্বহীন দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পড়ুয়াদের মুখস্থ বিদ্যার বদলে হাতেকলমে শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে ।
৪. প্রতিবছরের বদলে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ।
৫. দশম শ্রেণির পর কলা বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ বা বাণিজ্য বিভাগের তফাৎ উঠে যাচ্ছে।
৬. পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়লেও, থাকতে পারে সংগীত । পদার্থবিদ্যা, রসায়ন নিয়ে পড়লেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার সুযোগ।
৭. পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা বাধ্যতামূলক। কারোর উপর জোর করে কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।
৮. অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষায় ঐচ্ছিক।
৯. দ্বাদশ শ্রণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৮টি সেমিস্টারের প্রস্তাব।
১০. ৫+৩+৩+৪ ভাগে ১৫ বছরের স্কুল স্তরে পড়াশোনা। এর মধ্যে তিন বছর প্রি স্কুল পড়াশোনার সুপারিশ।
১১. উচ্চশিক্ষার তত্ত্বাবধানে একটিই নিয়ন্ত্রক সংস্থা, হায়ার এডুকেশন কাউন্সিল (HECI)। তবে তার আওতায় থাকবে না মেডিক্যাল ও আইনি শিক্ষা।
১২. স্নাতক স্তরে অনার্স কোর্স ৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে প্রতি বছরের শেষে পড়ুয়ারা পাবেন সার্টিফিকেট। কোর্স শুরুর ১২ মাসের মধ্যে পড়াশোনা ছেড়ে দিলে পড়ুয়া পাবেন ভোকেশনাল কোর্সের সার্টিফিকেট। দুবছর বা ২৪ মাস পর ছাড়লে ফিলবে ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট। আর চার বছরের কোর্স করলে পাওয়া যাবে ডিগ্রি কোর্সের সার্টিফিকেট। ফলে চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
১৩. ১ অথবা ২ বছরে স্নাতকোত্তরের সুপারিশ।
১৪. উঠে যাচ্ছে এমফিল।
# এই সব পরিবর্তন করা হচ্ছে। এবার আসা যাক এর সুবিধা ও অসুবিধা।
১ মত, মন্ত্রকের নাম যাই হোক এতে কিছু এসে যায় না।
২ য়ত, শিক্ষার অধিকার সবার ছিল ও থাকছে, ভালো কথা।
৩ য়ত, হাতে কলমে শিক্ষার উপর জোর দেওয়া খুব ভালো। বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব আর থাকবে না বাঃ, বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব থাকতেই যা হাল, তারপর বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব হীন হওয়াতে শিক্ষার হাল যে বেহাল দশা হবে তার উপেক্ষা রাখে না। বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব থাকতেই অনেক ছাত্র ছাত্রীরা ভালো করে রিডিং পড়তে পারে না, সাধারণ অঙ্ক করতে পারে না, এরপর বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব হারালে কতটা উন্নত হবে তার ইয়ত্তা রাখে না।
৪র্থত, প্রতি বছর আর পরীক্ষা না হলে ছাত্র ছাত্রীরা বিষয় গুলি আরো কম পড়বে। এমনিতেই তারা পারেনা। তাই শিক্ষার মান আরো তলানিতে ঠেকবে ।
৫ মত, দশম শ্রেণীর বিভাগ উঠে যাওয়াতে খুবই ভালো। এটি একটি খুব ভালো সিদ্ধান্ত। আলাদা আলাদা বিভাগ থাকাতে ছাত্র ছাত্রীদের মনের মধ্যে একটা খারাপ প্রভাব পড়ত, সেদিক থেকে অনেক সুবিধা হল।
৬ষ্ঠত, যার যে যে বিষয় নিয়ে পাড়ার ইচ্ছা সে সেই বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে, খুব ভালো ব্যাপার। ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে। কারু একটা বিষয় বিজ্ঞান বা সাহিত্য নিয়ে আর অন্য বিষয় অন্য গ্রুপের মধ্যে পড়তে ইচ্ছা হতেই পারে। তাই এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত।
৭ মত, মাতৃভাষায় পড়তে পারবে এটাও খুব ভালো। মাতৃভাষায় পারতে পারলে ছাত্র ছাত্রীদের বিষয় গুলি বুঝতে সুবিধা হবে।
৮ মত, দশম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষার গুরুত্ব না থেকে, দ্বাদশ শ্রেণীর ৮ সেমিস্টার করে কি লাভ! যদি পূর্বের শ্রেণীতে ভালো ভাবে না শিখে তবে উচ্চ শ্রেণীর পরীক্ষার গুরুত্ব হীন।
৯ মত, শুধু মাঝে মধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি ব্যাস। বিষয় গুলি রপ্ত করার প্রয়োজন নেই।
১০ তম, শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ সংস্থা থাকা ভালো দিক।
১১ তম, এটাও খুব ভালো। স্নাতক স্তরে ৪ বছর হওয়া উচিত। আর যে যতটুকু শিখল তার ভিত্তিতে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে সেটাও ঠিক।
১২তম, এটা যেমন ছিল তেমনি রইল। ঠিকই আছে।
১৩ তম, এমফিল এর আর প্রয়োজন নেই। এটার কি গুরত্ব ছিল না!
কিন্তু একটা বিষয় কেউ লক্ষ করেছে কি? আমার মনে হয় কেউ তা লক্ষ করেনি। তাহল শিক্ষার কাঠামো পরিবর্তন করা হচ্ছে, শিক্ষার মান বাড়ানোর কোনো কিছু করছে না। শিক্ষা যেমন ছিল তেমনি রইল। শুধু স্কুল কলেজের বিল্ডিং নতুন করা হচ্ছে, চেয়ার টেবিল গুলি সেই পুরনোই থেকে যাবে। তাই শিক্ষার মান আরো খারাপ হবে। এখন যে শিক্ষার শোচনীয় পরিস্তিতি, এর পর আরো শোচনীয় অবস্থা হবে। অবশ্য বিচার করবে কে এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা শিক্ষিত তারা! যারা নিজেরাই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেনি তারা আর কি বলবে! যাদের নিজেদের বিচার বিবেচনা করার শক্তি নেই, তারা কি বিচার করবে। যারা মনে করে, "ট্যাগ লাগানো মানুষ গুলো যা বলবে সব ঠিক এবং তাদের কথায় শেষ কথা,। তারা আমাদের জন্য যা বিচার বিবেচনা করবে তাই ঠিক, তার পরে আমরা আর বিচার বিবেচনা করতে পারি না, তাই তাদের কথাই আমাদের কথা।"
এই জন্য আমরা যারা ট্যাগ লাগানো ব্যক্তিদের সমালোচনা করি, তাদের তারা একহাত দেখে নেয় , আর তাদের শিক্ষা ও মানসিকতা প্রকাশ করে।
এই নয়া নীতিতে আসল কথাটাই উল্লেখ নেই। হয়ত তার প্রয়োজন নেই। তা হল শিক্ষকদের শিক্ষার উন্নতি, শিক্ষকদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করা। শিক্ষকদের কি শিক্ষিত হবার প্রয়োজন নেই! শিক্ষকরাই যদি প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়, শিক্ষকদের শিক্ষার মান যদি না উন্নত হয় তবে এই পরিবর্তনের কি লাভ! জনগন দের আরো পিছিয়ে পাড়ার পরিকল্পনা নয় কি? শিক্ষা কতো নিচে নামবে তা এখন থেকে অনুমান করা যায়।
--------------------------------------------------
Translate in English:-
The education system is changing 2020
Our country's education system in India was either traditional, the foundation of education was shaky. So the education system is going to change and come to a new turn. The education system is going to be improved by changing memorization education, general education as well as action education is going to be introduced. Education is going to change radically.
The reason for the change is that today's boys and girls are memorizing and passing. Education is gaining nothing. So the pen will teach. The structure of education is changing. Let's take a look at what's changing.
According to the information, the changes are: -
1. The name of the Ministry of Education was given before 1975. In 1975, the name of the Ministry of Human Development was changed to the Ministry of Education. The concerned ministry was known by this name since independence.
2. The right to education for all in the new education policy. Students of 3 to 18 years have been brought under it.
3. Tenth or twelfth grade board exams are unimportant in the new national education policy. In this test, the emphasis will be on hands-on learning instead of memorization.
4. It is recommended to take exams in third, fifth and eighth classes instead of every year.
5. After 10th class, the difference between art department, science department or commerce department is increasing.
6. Even if you read about physics, there may be music. Opportunity to study physics, chemistry, fashion designing.
7. Education in mother tongue / regional language is compulsory till fifth class. No language should be forced on anyone.
8. Mother tongue / regional language education is optional till 8th class.
9. Proposal of 6 semesters in board examination in 12th class.
10. Studying at school level for 15 years in 5 + 3 + 3 + 4 sections. Of these, three years of pre-school education is recommended.
11. The Higher Education Council (HECI) is the only regulatory body overseeing higher education. However, it will not cover medical and legal education.
12. Honors courses at the undergraduate level can last up to 4 years. However, at the end of each year, students will receive a certificate. If you leave the study within 12 months of starting the course, the student will get the certificate of vocational course. If you leave after two years or 24 months, you will get a diploma certificate. And if you do a four year course, you will get a degree course certificate. This will benefit the job.
13. Postgraduate recommendation in 1 or 2 years.
14. MPhil is going up.
# All this is being changed. Let's come to the advantages and disadvantages.
Like 1st, whatever the name of the ministry, it doesn't matter.
Secondly, everyone had the right to education and that is a good thing.
3rd, it is very good to emphasize education by hand. The importance of the board examination will no longer be there, as is the case with the importance of the board examination, then the importance of the board examination does not ignore the current state of education. Because of the importance of board exams, many students can't read well, can't do simple maths, then they don't know how much they will improve if they lose the importance of board exams.
4th, if there are no more exams every year, the students will read less subjects. They just can't. So the quality of education will sink further.
5th, it is very good to go up to 10th class. This is a very good decision. Having separate departments would have a bad effect on the minds of the students, hence the many benefits.
6thly, anyone who wants to read about a subject can read about that subject, which is a very good thing. Students will be able to read about the subject of their choice. Someone may want to read one subject about science or literature and another subject in another group. So it was a very good decision.
7th, it is also very good to be able to read in the mother tongue. Students will be able to understand the subjects if they can speak in their mother tongue.
8th, what is the benefit of doing 8th semester of 12th class, from the importance of examination till 10th class! If you don't learn well in the previous class, then the importance of higher class examination is insignificant.
9th, just occasionally test preparation diameter. There is no need to take matters into one's own hands.
10th, the good side of having an education regulatory body.
11th, it's very good. Graduation level should be 4 years. And the certificate will be given on the basis of what you have learned.
12th, it remained as it was. All right.
13th, MPhil is no longer needed. What was the importance of it!
But has anyone noticed one thing? I don't think anyone noticed. Then the structure of education is being changed, it is not doing anything to improve the quality of education. Education remained as it was. Only the school-college building is being renovated, the chairs and tables will remain the same. So the quality of education will be worse. Now that the miserable situation of education, there will be more miserable conditions after that. Of course, who will judge those who are educated in the current education system! What more can those who themselves have not been educated in actual education say! Those who do not have the power to judge themselves, will they judge? Those who think, "All that the tagged people will say is right and the last word in their words. What they will consider justice for us is right, then we can no longer consider justice, so their words are our words."
This is why those of us who criticize tagged people look at them with one hand, and express their education and mentality.
This new policy does not mention the real thing. Maybe he doesn't need to. That is to improve the education of teachers, to educate teachers in real education. Teachers do not need to be educated! If teachers are not educated in actual education, if the quality of education of teachers is not improved, then what is the benefit of this change! Isn't it a plan to make the people more backward? How low education will go down can be estimated from now on.
<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-4954924642538230"
crossorigin="anonymous"></script>
Comments
Post a Comment