জৈন ধর্ম Jaina Religion

 জৈন ধর্ম

প্রাচীন কালে বিভিন্ন রকম সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে যে ধর্মীয় প্রতিবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার একটা ফলশ্রুতি হলো জৈন ধর্মের উৎপত্তি। জৈন ধর্মের উৎপত্তির সঠিক সময় জানা না গেলেও, অনুমান করা যায় যে খ্রীস্টপূর্ব সপ্তম - ষষ্ঠ শতকে উত্তর ভারতে জৈন ধর্মের উৎপত্তি হয়।

    তীর্থংকর :- জৈন ধর্মের প্রচারকরা তীর্থংকর নামে পরিচিত ছিলেন। ২৪ জন তীর্থংকর ছিলেন। তবে ২২ জন তীর্থংকরের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায়নি। ২৩তম তীর্থংকর ছিলেন পার্শ্বনাথ, এবং ২৪তম বা সর্বশেষ তীর্থংকর ছিলেন মহাবীর। তীর্থংকররা সংসার দুঃখ পার হবার ঘাট বা তীর্থ নির্মাণ করেছিলেন বলে তাঁরা এই নামে পরিচিত।

   জৈন ধর্মের উৎপত্তি :- জৈনরা সব রকমের গ্রন্থি বা বন্ধন থেকে মুক্তি কামনা করতো বলে নির্গ্রন্থ সম্প্রদায় নামেও পরিচিত। নির্গ্রন্থ বা জিন শব্দ থেকেই জৈন শব্দের উৎপত্তি। তীর্থংকররা আবার সব রকমের লোভ, আকর্ষণ, ক্রোধ এবং বিদ্বেষকে জয় করেছিলেন বলে তাঁরা জিন বা জয়ী ছিলেন।



 

  জৈন ধর্মের প্রচারক :- ২৩তম তীর্থংকর পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈন ধর্মের প্রধান প্রচারক। যেহেতু ২২জন তীর্থংকরের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় নি, তাই পার্শ্বনাথকে জৈন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। ২৪তম আর শেষ তীর্থংকর ছিলেন মহাবীর। জৈন ধর্মের একজন সংস্কারক, শ্রেষ্ঠ ও শক্তিমান প্রচারক। কারণ মহাবীরের সময় থেকেই জৈন ধর্মের প্রসার লাভ করে।




  জৈন ধর্মমত :- জৈন ধর্মমত অহিংসা, প্রেম, ত্যাগ এবং মোক্ষলাভের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই ধর্মে বলা হয় সৃষ্টি অনন্ত ও অনাদি, তাই জৈন ধর্মে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয় । মহাবীর আত্মার মুক্তির জন্য তিনটি পন্থার আরোপ করেন। এগুলি হলো সৎ কর্ম , সৎ ব্যবহার, এবং সৎ জ্ঞান। এই তিনটি পন্থা ত্রিরত্ন নামেও পরিচিত। মহাবীর সমস্ত রকম আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে স্বয়ং বস্ত্র পরিত্যাগ করেন। মহাবীরের শিষ্যরাও বস্ত্র ত্যাগ করেন। তাই তাদের দিগাম্বর বলত। অপরদিকে আরেক গোষ্ঠী শ্বেত বস্ত্র পরিধান করতেন, তাদের শ্বেতাম্বর বলা হতো। এইভাবে জৈন ধর্মাবলম্বীরা দুই গষ্ঠীতে বিভক্ত হয়।

    জৈন ধর্মের বিস্তার :- জৈন ধর্ম প্রসারের জন্য মহাবীর জৈন শ্রমন সংঘের প্রতিষ্ঠা করে ১১ জন প্রধান শিষ্যের উপর সংঘ পরিচালনার দায়িত্ব দেন। বর্তমান উত্তর ও দক্ষিণ বিহার এবং পশ্চিমে কৌশাম্বী পর্যন্ত জৈন ধর্ম প্রচার করেন। কথিত আছে বিম্বিসার, অজাতশত্রু এবং মৌর্যসম্রাট চন্দ্র গুপ্ত জৈন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

   জৈন ধর্ম ভারতে সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও , বৌদ্ধ ধর্মের মতো ভারতের বাইরে বিস্তার লাভ করতে পারেনি। তবু ভারতে জৈন ধর্ম টিকে আছে।


Jaina Religion

  The origin of Jainism is a result of the religious protest movement that started in ancient times for various social and economic reasons. Although the exact time of the origin of Jainism is not known, it is presumed that Jainism originated in northern India in the seventh-sixth centuries BC.

         Tirthankara: - The preachers of Jainism were known as Tirthankara. There were 24 Tirthankars. However, some information about 22 Tirthankars was not known. The 23rd Tirthankara was Parshvanath, and the 24th or last Tirthankara was Mahabir. They are known by this name because the Tirthankars built ghats or tirthas to cross the sorrows of the family.

     Origin of Jainism: - Jains also known as Nirgranth Sampradaya because they wanted freedom from all kinds of glands or bonds. The word Jain originates from the word Nirgranth or Jin. The Tirthankars again conquered all kinds of greed, attraction, anger and hatred, so they were jinn or victors.

     Preacher of Jainism: - 23rd Tirthankar Parshvanath was the main preacher of Jainism. Since little is known about the 22 Tirthankaras, Parshvanath is said to be the founder of Jainism. Mahabir was the 24th and last Tirthankara. A reformer, the best and strongest preacher of Jainism. Because Jainism spread from the time of Mahavira.



       Jainism: - Jainism is based on non-violence, love, renunciation and liberation. In this religion creation is said to be eternal and eternal, so in Jainism the existence of God is denied. Mahavira imposed three methods for the liberation of the soul. These are honest deeds, honest behavior, and honest knowledge. These three approaches are also known as Triratna. Mahavira gave up his clothes to get rid of all kinds of addictions. Mahavira's disciples also left their clothes. So Digambar used to call them. Another group, on the other hand, wore white clothes, called shwetambar. Thus the followers of Jainism are divided into two groups.



     Spread of Jainism: - For the spread of Jainism, Mahabir established Jain Shraman Sangha and gave the responsibility of running the Sangha to 11 main disciples. He preached Jainism in present day North and South Bihar and as far west as Kaushambi. It is said that Bhimsa, Ajatashatru and Maurya emperor Chandra Gupta converted to Jainism. 

      Although Jainism was well established in India, it did not spread beyond India like Buddhism. Yet Jainism survives in India.




<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-4954924642538230"

     crossorigin="anonymous"></script>


Comments

Popular posts from this blog

বৃক্ষ রোপন পদ্ধতি

আসানসোল এলাকার কালী পূজা

চাকরি করা ছেলে ও মেয়ের বাবা মা