Posts

Showing posts from October, 2021

বর্তমানের মানব সমাজ

Image
  বর্তমানের মানব সমাজ  বর্তমানে মানব সমাজ ধর্মের দিক হতে একেবারে নাস্তিক, আচারের দিক হতে খুব যুক্তিবাদী কিন্তু বিচারের দিক থেকে ঘোর কুসংস্কারচ্ছন্ন। মানব জড়িবুটি, তাগা-তাবিজ, মাদুলি, ঝাড়ফুঁক, মন্ত্র-পড়া, তেল-পড়া, জল-পড়া, নুন-পড়া ইত্যাদি নানা কুসংস্কারে আবদ্ধ। আধুনিক শিক্ষাতে শিক্ষিত হয়ে মানব নানা গর্ববোধ করে, কিন্তু নানা রকম কুসংস্কারের শিকড় তার মনের মধ্যে গেড়ে আছে। সুতরাং শিক্ষিত মানবগণও ঐ কুসংস্কার হতে মুক্ত নয়। এরা নিজের অজান্তে বা খেয়ালের আবেগে, ভয়ের তাড়নায় ও লোভের বশবর্তী হয়ে অনেক কুসংস্কার স্বীকার করছে এবং তা আচরণেও কার্যকর করবার প্রয়াস করছে। কী বিভ্রান্তি! কী মেকী শিক্ষার গর্ববোধ! মানবের যতদিন না অধ্যাত্ম চেতনার উন্মেষ হচ্ছে, ততদিন মানবসমাজ কুসংস্কার ও ভ্রান্তি হতে মুক্ত হবে না। তাই যথার্থ বিচার করো, বিবেকী হও। ধর্ম বলতে যা বুঝায়, তা হল—যা সমস্তকে ধারণ করে বা ধরে রাখে এবং যাকে অবলম্বন করে সমষ্টিগতভাবে বাঁচা যায়। কারণ জীবনের কলা হল বাঁচার তাগিদ ও পূর্ণতা লাভের প্রবণতা বা প্রচেষ্টা। সুতরাং ধর্মকে আশ্রয় করেই সমষ্টিগতভাবে বাঁচা যায় এবং পূর্ণতা লাভের পথ প্রশস্ত হয়।  ন...

ভান্নানি দেবীর পূজা।

Image
  দেবী ভান্নানি মন্দির। ভান্নানি দেবীর পূজা।     দুর্গা পূজার পরের দিন থেকে পূজা শুরু হয়, দেবী ভান্নানি পুজা। দুদিন ধরে এই দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। একাদশী ও দ্বাদশীর দিন এই দেবী প্রতিমা তৈরি করে পুজো করা হয়।       ভান্নানি দেবী মাতা সংসারের সমৃদ্ধি কামনায় ও রক্ষায় পূজিত হন। সুখ শান্তি কামনায় মানসিক ও পুজো করা হয়। সংসারের কামনা বাসনা পূর্ণ করতে অনেকে এই দেবীর কাছে মানত করে থাকেন। নিজের ইচ্ছা পূরণ করতে নিজের সমর্থ অনুযায়ী দেবীর কাছে উৎসর্গ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।           পশ্চিম বঙ্গের মানুষ এই দেবীর পূজা করে থাকেন। বিশেষ করে উত্তর বঙ্গে এই দেবীর পূজোর চল বেশি। উত্তর বঙ্গের বেশির ভাগ মানুষ এই দেবীর পূজা অর্চনা করে থাকেন।       কথিত আছে ভান্নানি দেবী স্বয়ং দুর্গা দেবীর আরেক রূপ। দেবী দুর্গা আরেক অন্য রূপে পূজিত হন উত্তরবঙ্গে। দেবী ভান্নানি রূপে। বহু প্রাচীন কাল থেকে উত্তর বঙ্গে দুর্গা দেবী এই রূপে পূজিত হন।        শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার প্রভৃতি জেলায় এই দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সাধা...

136 টি অ্যাপ ব্যান্ড করলো গুগল

Image
  দেখে নেওয়া যাক কোন কোন অ্যাপ গুগল ব্যান্ড করলো। সিকিউরিটির কথা ভেবে Google Play Store থেকে সরানো হলো এই app গুলি।      আজ কাল প্রায়ই শোনা যাচ্ছে যে ফোন বা পিসিতে হ্যাকিং হয়ে ব্যক্তি গত তথ্য চুরি হয়ে যায়। এমনকি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা চুরি হয়ে গেছে। আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চুরি হয়ে যায়। এতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সাধারণ মানুষকে।       হ্যাকাররা চুরি বা হ্যাকিং করে সাধারণত অ্যাপসের মাধ্যমে ফোনে বা কম্পিউটার এর মধ্যে ঢুকে। কোনো অ্যাপ ডাউন লোড করলেই সেই অ্যাপ অ্যাক্টিভ করতে বিভিন্ন ধরনের পারমিশন চায়, পারমিসন এলাও না করলে অ্যাপ কার্য করি হয় না। তাই পারমিসন এলাও করতে হয়। ফলে ফোন বা পিসি অ্যাকসেস করতে পারে অ্যাপ এর মাধ্যমে হ্যাকাররা।     তাই গুগল ব্যান্ড করলো এই রকম কতো গুলো অ্যাপ। গুগল ব্যাবহার কারি মানুষের কথা ভেবে। Google Play Store থেকে ব‍্যানড করা 136টি অ্যাপের লিস্ট: *Google Play Store থেকে ব‍্যানড করা 136টি অ্যাপের লিস্ট: Handy Translator Pro Heart Rate and Pulse Tracker Geospot: GPS Location Tracker iCar...

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ও মহালয়া

Image
  বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ও চন্ডী পাঠ। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভাদ্রের জীবনী মহালায়ার চণ্ডী পাঠ হিসেবে পরিচিত বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র মহাশয়। ভারতীয় সম্প্রচারকারী, নাট্যকার, অভিনেতা, অধ্যয়নকারী এবং থিয়েটার পরিচালক বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র মহাশয় সর্বাধিক পরিচিতি তার মহিষাসুরমর্দিনী নামক বেতার সঙ্গীতালেখ্যটির জন্য। তাঁর জান্ম ৪ আগস্ট ১৯০৫ সালে এবং তিনি ৩ নভেম্বের ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র মহাশয় কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ১৯৩০ এর দশক থেকে সুদীর্ঘকাল অল-ইন্ডিয়া রেডিওর বেতার সম্প্রাচারকের কাজ করেন। এবং সেই সময় থেকে এখনও মহালয়ার দিন ভোর চারটের সময় কলকাতার আকাশবাণী থেকে এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয়।বীরেন্দ্রকৃষ্ণ এই অনুষ্ঠানের ভাষ্য ও শ্লোকপাঠ করেছেন। এখনও সেই রেডিও-তেই মহালয়া শোনেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মেয়ে। সেই ঘর, সেই খাট, সেই টেবিল এবং সেই রেডিও! আজও আছে। একই রকম। মহালয়ার ভোরে ওই রেডিও খোলা হয়। গোটা বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে, বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর...! মহালয়ার সকালে মহিষাসুরমর্দিনীর কিংবদন্তী রূপকার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতে আজও যেন ফিরে আসে অতীত! রামধ...

রাঢ় বাংলার পূজো জিতা অষ্টমী

Image
  রাঢ় বাংলার মহিলাদের পূজো জিতা অষ্টমী। গ্রাম বাংলার পুজো পালন ও সন্তানদের মঙ্গল কামনা।      আজ ২অক্টোবর, ১৫ই আশ্বিন ১৪২৮ সাল, জিতাষ্টমী, রাঢ় বাংলার সধবা মহিলা দের কাছে একটি অন্যতম পূজা যা সন্তান দের মঙ্গল কামনায় করা হয়। দেড় থেকে দু দিন অব্দি ও নির্জলা উপোস করে বাড়ির উঠোনে বট গাছ, কলা গাছ, আখ ইত্যাদি পুঁতে এবং তাতে শালুক ফুলের মালা পরিয়ে জীমূতবাহন রূপে পূজা করা হয় লৌকিক মতে নাকি দেবরাজ ইন্দ্রের পূজা যদিও তা নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে। উপোস থাকার পরের দিন কোন পুকুর, দিঘি বা বড় জলাশয়ে গিয়ে পান্না করে এই পূজার সমাপন ঘটে।     মাটির শেয়াল ও শকুন তৈরী ও এই পূজার অন্যতম একটি নিয়ম যা সেই জলাশয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণাষ্টমী তিথিতে এটি পালন করা হয়।এবং পরের দিন দেবী দুর্গার প্রথম বোধন হয় অর্থাৎ কৃষ্ণানবমী তিথিতে।      খুব ছোট বেলায় মা'র সাথে পুকুরে যেতাম মনে পড়ে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমরা যখন বেশির ভাগ সময় এই ধরনের লোকাচার কে মানতে চায় না তখন শুধুমাত্র বিশ্বাস এর জোরে যে এতে তাদের সন্তান দের ভালো হবে তার জন্য যে মানুষ টি নির্জলা উপবাস থাক...