রাঢ় বাংলার পূজো জিতা অষ্টমী
রাঢ় বাংলার মহিলাদের পূজো জিতা অষ্টমী।
আজ ২অক্টোবর, ১৫ই আশ্বিন ১৪২৮ সাল, জিতাষ্টমী, রাঢ় বাংলার সধবা মহিলা দের কাছে একটি অন্যতম পূজা যা সন্তান দের মঙ্গল কামনায় করা হয়। দেড় থেকে দু দিন অব্দি ও নির্জলা উপোস করে বাড়ির উঠোনে বট গাছ, কলা গাছ, আখ ইত্যাদি পুঁতে এবং তাতে শালুক ফুলের মালা পরিয়ে জীমূতবাহন রূপে পূজা করা হয় লৌকিক মতে নাকি দেবরাজ ইন্দ্রের পূজা যদিও তা নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে। উপোস থাকার পরের দিন কোন পুকুর, দিঘি বা বড় জলাশয়ে গিয়ে পান্না করে এই পূজার সমাপন ঘটে।
মাটির শেয়াল ও শকুন তৈরী ও এই পূজার অন্যতম একটি নিয়ম যা সেই জলাশয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণাষ্টমী তিথিতে এটি পালন করা হয়।এবং পরের দিন দেবী দুর্গার প্রথম বোধন হয় অর্থাৎ কৃষ্ণানবমী তিথিতে।
খুব ছোট বেলায় মা'র সাথে পুকুরে যেতাম মনে পড়ে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমরা যখন বেশির ভাগ সময় এই ধরনের লোকাচার কে মানতে চায় না তখন শুধুমাত্র বিশ্বাস এর জোরে যে এতে তাদের সন্তান দের ভালো হবে তার জন্য যে মানুষ টি নির্জলা উপবাস থাকতে পারে সেই হলো মা। পৃথিবীর আর কেও এমনটা করতে পারবে কিনা জানিনা। তাই মঙ্গল অমঙ্গল এর হিসেব নিকেশ শিকেয় তুলে পৃথিবীর জন্ম লগ্ন থেকে সন্তান সন্ততি দের জন্য সব মায়েদের এমন ত্যাগ। এর জন্য শ্রদ্ধা জানাই।
ছবিটি ফেসবুক এ এক বন্ধুর ওয়াল থেকে সংগৃহীত।
Translate in English
The Pujo of the women of Rarha Bengal is Jita Astami.
Worship of rural Bengal and good wishes for the children.
Today, 2nd October 2021, Bangali 15th Ashwin 1428 sal, Jitashtami, is one of the most important pujas for the sadhva women of Radha Bengal which is performed for the welfare of the children. After fasting for one and a half to two days and burying in the backyard of the house, banyan trees, banana trees, sugarcane, etc. are buried and watermelon garlands are worshiped in it. The next day after fasting, one goes to a pond, dighi or large water body and completes this puja.
Making earthen foxes and vultures is one of the rules of this puja which is immersed in that water body. It is celebrated on the Krishnashtami date of the month of Ashwin.
I remember going to the pond with my mother when I was very young. Today, when we don't want to follow this kind of folklore most of the time, the only person who can fast for the sake of believing that it will be good for their children is the mother. I don't know if anyone else in the world can do that. That is why all mothers have sacrificed for the sake of their children since the birth of the world.
Comments
Post a Comment