পৌষ সংক্রান্তি ও পিঠে পুলি

 বাঙালির বারো মাসে তেরো পরব, তার একটা উৎসব তথা পরব পৌষ সংক্রান্তি।


পৌষ সংক্রান্তির দিন পিঠে পুলি একটা অন্য অনুভূতি সৃষ্টি করে।



           বাঙালির প্রত্যেকটা উৎসবই এক একটা অন্য মাত্রা আছে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলায়। সেরকমই পৌষ পার্বণে পিঠে খাওয়া একটা অন্য রকম অনুভুতি পাওয়া যায়। 

     


            পৌষ সংক্রান্তি উৎসবকে নানা রকম নামে অভিভূত করা হয়, যেমন পৌষ পার্বণ , পৌষ জাগরণ, মকর, মকর স্নান, পঞ্জাল, পিহু, মকর সংক্রান্তি, পিঠে পার্বণ প্রভৃতি । তবে নাম যায় হোক পিঠের নাম শুনলেই আমাদের জিভে জল চলে আসে। কতো রকমের যে পিঠে তৈরি করা হয় তার ঠিক ঠিকানা নেই।

        পিঠে তৈরির মূল উপাদান চাল গুড়ি। চাল ঢেঁকিতে বা মেশিনে পিষে ডাস্ট বা পাউডার করা হয় একে চাল গুড়ি বলা হয়।

        পৌষ সংক্রান্তির কয়েক দিন আগে থেকেই পৌষ সংক্রান্তির উৎসব করার আয়োজন করতে থাকেন পরিবারের মা বোনেরা। চাল গুঁড়ো করার জন্য চাল ভিজিয়ে রাখা হয়। অন্যান্য উপকরণ জোগাড় করা। উপকরণ তৈরি করা, জিনিস পত্র সংগ্রহ ও রেডি করে রাখা হয়।


         পিঠে পুলি বিভিন্ন ধরনের হয়, যেমন তাওয়া পিঠে, আস্কা পিঠে, ভাপা পিঠা, পুর পিঠা, দূধ পিঠে, খীর পিঠে, গুড়ের পিঠে, নলেন গুড়ের পিঠে, তিল পিঠে, নারকেল পিঠে, চাছি পিঠে, পিঠে পায়েস, পিঠে মালায়, পাটি সাপটা, দুধ পোয়া আরও কতো কি পিঠে রয়েছে। আবার এই পিঠে গুলিকেও আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করা যায়। 

     পিঠে তৈরি বিভিন্ন রকম ডিজাইনের করা হয়েছে। সিংড়ার মতো, সিমের মতো বা নাক কানের মতো মিষ্টির মতো, ছোটো ছোটো গোল বা লম্বের মতো পিঠে করা হয়।

* পিঠে তৈরির উপকরণ - 

১. পিঠে তৈরির মূল উপকরণ ঢেঁকি থেকে তৈরি চাল গুড়ি। অন্যান্য উপায়েও চাল গুড়ি করা যেতে পারে। মেশিনে বা মিস্ক গ্রাইন্ডার থেকেও চাল গুড়ি করা যেতে পারে।

২. গুড়  (ভেলি গুড় বা নলেন গুড় অথবা খেজুর গুড়) ।

৩. নারকেল গুড়।

৪. তিল গুড়।

৫. খোয়া বা চাছি।

৬. দুধ।

৭. তেল।

* পিঠে তৈরি করার উপাদান

১. তাওয়া।

২. হাঁড়ি।

৩. কড়াই।

৪. সোরা।

৫. মালসা।

৬. খুন্তি

৭. তালপাতা।


Comments

Popular posts from this blog

বৃক্ষ রোপন পদ্ধতি

আসানসোল এলাকার কালী পূজা

চাকরি করা ছেলে ও মেয়ের বাবা মা