Posts

Showing posts from July, 2021

সন্ধ্যামণি ফুল Marvel of peru

Image
  সন্ধ্যামণি ফুল সকলের পরিচিত এই সন্ধ্যামণি ফুল প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়। কমবেশি সকলেই চেনে। এই ফুলের জানা অজানা বিশেষত্ব দেখে নেওয়া যাক।        এই ফুল   সন্ধ্যামণি, সন্ধ্যা মালতী, সন্ধ্যাবতি নামে পরিচিত। গ্রাম বাংলার মানুষের একটা জনপ্রিয় ফুল সন্ধ্যাবতি। বাঙালির প্রিয় ফুলগুলি মধ্যে এই ফুল একটি। প্রায় সর্বত্রই সন্ধ্যবতি ফুল দেখা যায় বা উপলব্ধ হয়। গ্রাম বাংলার যেখানে সেখানে সন্ধ্যাবতি ফুল জন্মায়। বিশেষ আদর যত্ন ছাড়ায় সন্ধ্যাবতি ফুল অতি সহজেই জন্মায় এবং বীজ শুকিয়ে মাটিতে পড়ে চারিদিকে ছড়ায়। খুব কম সময়েই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।       সন্ধ্যার সময় এই ফুল প্রস্ফূটিত হয় বলে সন্ধ্যাবতি ফুলের এই সব নাম। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে সন্ধ্যাবতি ফুল প্রস্ফুটিত হয়। যেখানে সন্ধ্যাবতি ফুলের বাগান থাকে সেখানে সন্ধ্যাবেলায় প্রস্ফুটিত ফুলের কারণে অপূর্ব সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। সন্ধ্যাবতি ফুল বিভিন্ন রকম রঙের হয়। যেমন গোলাপী, হলুদ, কমলা, সাদা ইত্যাদি রঙের সন্ধ্যাবতি ফুল দেখা যায়। বাগানে সব রঙের সন্ধ্যাবতি  ফুল ফুটে থাকলে বাগান ও প্রকৃতি সু...

ভিটামিন "C" এর মাহাত্য

Image
  আজকের এই মহামারীর পরিস্থিতিতে ভিটামিন "C" এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রত্যেকের ভিটামিন C এর প্রয়োজন আছে। সে কারণে কোন কোন জিনিসে ভিটামিন সি পাওয়া যায় দেখে নেওয়া যাক।           ভিটামিন সি যেসব খাবারে পাওয়া যায়, তার মধ্যে কাচা শাক সবজি, ফল ইত্যাদি। যেমন পালং শাক, সরিষা শাক, ব্রকোলি, পেঁপে, টমেটো, পাতাকপি, ফুলকপি , কিউই, চেরি, পেয়ারা, আমলা, কমলা লেবু, কাঁচা মরিচ, স্ট্রবেরি, কুল, জাম, লিচু প্রভৃতি শাক সবজি ফল মুলে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।    এবার ভিটামিন সি এর গুরুত্বপূর্ন গুনাগুনগুলি দেখা যাক। ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই দেহের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে চোখের লেন্স, কোষের নিউক্লিয়াস, ত্বক ও হাড়ের কলা সুরক্ষা দেয়।মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা, নিউরোট্রান্সমিটারের চলাচল ও তথ্য আদানপ্রদান এবং রক্তের লৌহ শোষণের ভিটামিন ভূমিকা রয়েছে।শরীরের কটা ছেঁড়া ঘা এবং ঠান্ডা সর্দি জ্বরেও ভিটামিন সি দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।      শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে ভিটামিন ...

চাকরি করা ছেলে ও মেয়ের বাবা মা

Image
  প্রায় প্রত্যেক মেয়েদের বাবা মা এর চাওয়া সরকারি চাকরি করা ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়া। এটা কতটা যুক্তি সঙ্গত।       মেয়ের বাবা মায়েরা সরকারি চাকরি করা ছেলের খোঁজ করছেন । খুবই ভালো, কিন্তু আজকাল সোশাল মিডিয়ায় বেশ কয়েক দিন থেকে শোনা যাচ্ছে যে "মেয়ের জন্য তো সরকারি চাকরি করা ছেলে খুঁজছেন কিন্তু আপনার মেয়ে কি সরকারি চাকরি করা ছেলের উপযুক্ত?", " আপনার মেয়ে কি সরকারি চাকরি করে?", আপনার ছেলে কি সরকারি চাকরি করে, না আপনার ছেলে সরকারি চাকরি না করলে ছেলের বিয়ে দেবেন না?" ইত্যাদি অনেকে রকমের প্রশ্ন উঠে আসে।         এই বিষয়টি নিয়ে নানা রকম ভাবে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আলোচনা করা যেতে পারে। তবে মেয়ে বাবা মা তো চাইবেনই যে তাদের মেয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে থাকে, সংসার করতে পারে। তাই মেয়ের বাবা মা সরকারি চাকরি করা ছেলে খুঁজে। কারণ সরকারি চাকরি একবার পেলে মাসের শেষে বেতন পাবেই, তাতে কাজ করুক বা না করুক। আর সরকারি চাকরি করা ছেলের সাথে বিয়ে দিলেই যে মেয়ে সুখী হবে এমন মানে নেই, তা কোনো মেয়ের বাবা মা বুঝতেই চায় না।         ...

চর্যাপদ ও ইতিহাস

Image
  প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ও চর্যা গীতি কোষ। পৃথিবীর যেকোনো ভাষা সাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে আদিপর্বে সাহিত্যের কাব্য ধারা প্রাধান্য লাভ  করেছিল। প্রাচীনকালে লিপি আবিষ্কৃত হয়নি, মুদ্রনেরও ব্যবহার অজানা ছিল। ফলে সাহিত্য বস্তু প্রধানত স্মৃতি ও শ্রুতি বাহিত হয়ে বিস্তার লাভ করে। সেই কারণে সুর, লয়, তাল ও ছন্দ সমন্বিত শ্রুতিসুভগ পদ রচিত হতো স্মৃতি স্মরণের কারণে। তাই প্রাচীনকালে কাব্য ধারা প্রচলিত হয়েছিল।    বাংলা ভাষা সাহিত্যের ইতিহাসের ক্ষেত্রেও এই কারণে কাব্য চর্চা ছিল। তাই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে বাংলা কাব্য ধারার আদি নির্দশন কোনটি। এই প্রশ্ন উঠে আসে উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষা লাভের ফলে। তাই সাহিত্যের মধ্যে ইতিহাস অনুসন্ধান করা শুরু হলো।    পূর্বে পুথিতেই রচনার লেখ্য রূপ বিধৃত হত। তাই সংরক্ষণের অভাবে বাংলা সাহিত্যর নিদর্শন সহজ লভ্য ছিল না। ফলে ইতিহাসের উপাদান, ভাষা তত্ত্বের উদাহরণ কিংবা সাহিত্য রসাস্বাদন, যে উদ্দেশ্যেই পাঠক সাধন করতে চান না কেন আগে সাহিত্য নিদর্শনটিকে মুদ্রিত গ্রন্থ হিসেবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে ছিল। এইভাব...

জৈন ধর্ম Jaina Religion

Image
 জৈন ধর্ম প্রাচীন কালে বিভিন্ন রকম সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে যে ধর্মীয় প্রতিবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার একটা ফলশ্রুতি হলো জৈন ধর্মের উৎপত্তি। জৈন ধর্মের উৎপত্তির সঠিক সময় জানা না গেলেও, অনুমান করা যায় যে খ্রীস্টপূর্ব সপ্তম - ষষ্ঠ শতকে উত্তর ভারতে জৈন ধর্মের উৎপত্তি হয়।     তীর্থংকর :- জৈন ধর্মের প্রচারকরা তীর্থংকর নামে পরিচিত ছিলেন। ২৪ জন তীর্থংকর ছিলেন। তবে ২২ জন তীর্থংকরের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায়নি। ২৩তম তীর্থংকর ছিলেন পার্শ্বনাথ, এবং ২৪তম বা সর্বশেষ তীর্থংকর ছিলেন মহাবীর। তীর্থংকররা সংসার দুঃখ পার হবার ঘাট বা তীর্থ নির্মাণ করেছিলেন বলে তাঁরা এই নামে পরিচিত।     জৈন ধর্মের উৎপত্তি :- জৈনরা সব রকমের গ্রন্থি বা বন্ধন থেকে মুক্তি কামনা করতো বলে নির্গ্রন্থ সম্প্রদায় নামেও পরিচিত। নির্গ্রন্থ বা জিন শব্দ থেকেই জৈন শব্দের উৎপত্তি। তীর্থংকররা আবার সব রকমের লোভ, আকর্ষণ, ক্রোধ এবং বিদ্বেষকে জয় করেছিলেন বলে তাঁরা জিন বা জয়ী ছিলেন।     জৈন ধর্মের প্রচারক :- ২৩তম তীর্থংকর পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈন ধর্মের প্রধান প্রচারক। যেহেতু ২২জন তীর্থংকরের সম্পর্কে...