Posts

বৃক্ষ রোপন পদ্ধতি

Image
  বৃক্ষ রোপন পদ্ধতি     বৃক্ষ ও জীব জগত একে অপরের পরিপূরক। মানুষের সাথেও বৃক্ষ অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। তাই বৃক্ষ রোপন আমাদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে বৃক্ষ রোপন করতে হবে। সুন্দর পরিবেশ, সুস্বাস্থ্য আবহাওয়া ও জীবকুল রক্ষার তাগিদে বৃক্ষ রোপন একান্ত প্রয়োজন।   সময় :- বৃক্ষ রোপণের সঠিক সময় বর্ষা কাল। যদিও অন্য ঋতুতে বৃক্ষ রোপন করা যায়। উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে উপযুক্ত পরিচর্যা করে বছরের অন্যান্য সময়েও বৃক্ষ রোপন করা যাবে। বীজ সংগ্রহ:- যে বৃক্ষ রোপন করব সেই বৃক্ষের গুণগত ভালো মানের বীজ সংগ্রহ করব। বৃক্ষের ফল থেকে যত্ন ছড়িয়ে শুকিয়ে বা বাজার থেকে কিনে নেব।  মাটি তৈরি:- বৃক্ষ রোপণের জন্য মাটি সঠিক ভাবে তৈরি করতে হবে। মাটিকে প্রথমে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। হালকা হালকা করে জল দিয়ে ভিজাতে হবে। তারপর গোবর বা অন্য কোন জৈব সার দিয়ে এমন ভাবে ভিজাতে হবে যাতে কাদা না হয় আর শুকিয়ে না যায়। এভাবে কিছুদিন রাখতে হবে। মাটি ভিজে ও ঝুরঝুরে থাকে তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বীজ রোপণ:- তৈরি করা মাটিতে সংগ্রহ করা বীজ রোপণ করতে হবে। নিয়মিত জল দি...

১০৩ বছর বয়সেও সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন

Image
ভাবা যায় ১০৩ বছর বয়সেও সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন। ড. মনি কুমার ছেত্রী            ১০৩ বছরে পড়লেন বিশিষ্ট চিকিৎসক মণি কুমার ছেত্রী। তিনি একশ তিন বছরের তরুণ। এই বয়সেও রোজ নিয়ম করে ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠেন। ব্রেকফাস্ট সেরেই গলায় স্টোথো ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়েন ডাক্তারবাবু। দিনভর নিজেকে ব্যস্ত রাখেন মানুষকে সুস্থ রাখার কাজে।  তিনি মাস্টার অফ মাস্টার্স, টিচার অফ টিচার্স।’      এই মহান মানুষটির জন্য আপনাদের গর্ব করা উচিৎ।           ১৯২০ সালের ২৩ মে দার্জিলিঙে জন্মগ্রহণ করেন মণি কুমার। প্রাথমিক শিক্ষা দার্জিলিং মিউনিসিপ্যালিটি প্রাইমারি স্কুলে। ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৪৪ সালে ডাক্তারিতে স্নাতক। ১৯৪৯-এ ডাক্তারিতে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। এরপর আরও পড়াশোনার জন্য যান বিদেশেও। ১৯৫৫ সালে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৯-এ আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি থেকে ফেলোশিপ করেন। ১৯৭২ সালে ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস থেকে ফেলোশিপ করেন। ১৯৭৩ সালে রয়্যাল কলেজ অফ ফিজিসিয়ানস থেকে ফেলোশিপ ...

গন্ধবনিক সম্প্রদায় ও পদবী

Image
  গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের পদবী তালিকা গন্ধবণিক সম্প্রদায় গ্রুপ থেকে সংগৃহিত পদবী তালিকা       পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে গন্ধ বণিক সম্প্রদায় বসবাস করেন। এমনকি দেশের বাইরে ও অনেক গন্ধ বণিক সম্প্রদায় বসবাস করেন। সেইসব গন্ধবণিক সম্প্রদাযয়ের বিভিন্ন পদবী রয়েছে। তা গন্ধ বণিক সম্প্রদায় গ্রুপ থেকে সংগ্রহ করে তুলে ধরলাম।         বানিক সম্প্রদায় গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ধ বণিক সম্প্রদায় অন্যতম। প্রাচীন কালে দেশে বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এই বণিক সম্প্রদায়।        গন্ধ দ্রব্য প্রস্তুত কারক ও বিক্রয় কারক সম্প্রদায় পরবর্তী সময়ে গন্ধ বণিক সম্প্রদায় নামে অভিহিত হন। অবশ্য অন্যান্য দ্রব্য প্রস্তুত করে থাকেন ও ব্যবসা করে থাকেন এই সম্প্রদায়।      বিভিন্ন ধরনের গন্ধ যুক্ত দ্রব্য নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে পটু ছিলেন এই সম্প্রদায়। এখনও এই সম্প্রদায় বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে থাকেন।       দেবী গন্ধেশ্বরী গন্ধ বণিক সম্প্রদায়ের আরাধ্য দেবী। দেবী দুর্গার আরেক র...

আজ মানবিকতার জয়

Image
  ধর্মে ধর্মে দ্বন্দ্ব করে মানবতার জয় কখনো হয় না। মানবিকতায় মানবতার জয় হয়। জয় বাংলা। বালিগঞ্জের নায়ক      আজ মানবিকতার জয় হবেই। মানুষের মনুষত্ব বোধ জেগে উঠেছে। চেতনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। আজ তার জীবন্ত উদাহরণ স্বরূপ প্রতিকৃতি হয়ে থাকবে আগামী দিনের ইতিহাসে।        মা মাটির মানুষের জয়, খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা তারপর আনন্দের জোয়ার বাংলায় ভেসে উঠবে। চেতনা চাপা দিয়ে রাখা যায় না। মানুষকে দমিয়ে রাখা যায় না, সম্বভ ও নয়। খুশির জোয়ার উঠলে উঠবে। আসানসোলের নায়ক       দুই নায়ক বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মা মাটির মানুষ কে আরো উচ্চ শিখরে পৌঁছে দেবে।      এদিকে বালিগঞ্জের নায়ক মাননীয় বাবুল সুপ্রিয়, অপরদিকে আসানসোলের নায়ক মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা বাংলার উন্নতির উত্তর সুরী।     বাংলা এগিয়ে ছিল আছে এবং আগামী দিনেও এগিয়ে থাকবে। বাংলা মডেল হয়েই থাকে, ভারতবর্ষ তথা বিশ্বে। মা মাটির জয় চিরকালই থাকবে।         আমরা নীলে নীলে সেজে উঠব, ভরে উঠবে রঙিন সাজে। নীল দিয়ে আনন্...

পৌষ সংক্রান্তি ও পিঠে পুলি

Image
  বাঙালির বারো মাসে তেরো পরব, তার একটা উৎসব তথা পরব পৌষ সংক্রান্তি। পৌষ সংক্রান্তির দিন পিঠে পুলি একটা অন্য অনুভূতি সৃষ্টি করে।            বাঙালির প্রত্যেকটা উৎসবই এক একটা অন্য মাত্রা আছে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলায়। সেরকমই পৌষ পার্বণে পিঠে খাওয়া একটা অন্য রকম অনুভুতি পাওয়া যায়।                    পৌষ সংক্রান্তি উৎসবকে নানা রকম নামে অভিভূত করা হয়, যেমন পৌষ পার্বণ , পৌষ জাগরণ, মকর, মকর স্নান, পঞ্জাল, পিহু, মকর সংক্রান্তি, পিঠে পার্বণ প্রভৃতি । তবে নাম যায় হোক পিঠের নাম শুনলেই আমাদের জিভে জল চলে আসে। কতো রকমের যে পিঠে তৈরি করা হয় তার ঠিক ঠিকানা নেই।         পিঠে তৈরির মূল উপাদান চাল গুড়ি। চাল ঢেঁকিতে বা মেশিনে পিষে ডাস্ট বা পাউডার করা হয় একে চাল গুড়ি বলা হয়।         পৌষ সংক্রান্তির কয়েক দিন আগে থেকেই পৌষ সংক্রান্তির উৎসব করার আয়োজন করতে থাকেন পরিবারের মা বোনেরা। চাল গুঁড়ো করার জন্য চাল ভিজিয়ে রাখা হয়। অন্যান্য উপকরণ জোগাড় করা। উপকরণ তৈরি করা, জিনিস পত্র...

বাংলায় রঙিন পাহাড়

Image
  ঝাড়গ্রাম, ভারতবর্ষের পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম জেলায় রঙিন পাহাড়ের সন্ধান। এবার রঙিন পাহাড়ের স্বাদ আমাদের বাংলাতেও।      ভ্রমণ পিপাসুদের আর গ্যাটের টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে রঙিন পাহাড় দেখতে যেতে হবে না। রঙিন পাহাড় দেখার স্বপ্ন পূরণ হবে এই বাঙলাতেই। অস্ট্রেলিয়ার মতো "রঙিন পাহাড়"এবার ঝাড়গ্রামে। এতদিন এই জায়গাটি খুব কসংখ্যক মানুষ জানত। এমনকি পর্যটকরাও এই জায়গাটির সন্ধান পায়নি। তাই সাধারণ মানুষের কাছে জায়গাটি অধরা থেকে গিয়েছিল। জঙ্গলের ভেতর একটি বিস্তির্ণ পাহাড় রয়েছে। যে পাহাড়টি রঙিন পাথরে মোড়া। দেখতে যেন অপূর্ব সুন্দর রহস্য লুকিয়ে আছে।      এই রঙিন পাহাড়টি বিভিন্ন রঙে রঙিন। ধূসর, লাল, সাদা হলুদ প্রভৃতি রঙে সজ্জিত। মন জুড়ানো এই দৃশ্য। জঙ্গল ঘেরা এই পাহাড় একদিকে জঙ্গলের স্বাদ, অপর দিকে পাহাড় তথা রঙিন পাহাড় দেখার অনুভুতি পাওয়া যায়।        অবাক করা কান্ড। এতদিন পর্যটকদের কাছে এই জায়গাটি ছিল অচেনা। কিন্তু সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়া মারফত এর হদিশ পায় পর্যটন প্রেমীরা। এর কৃতিত্ব অবশ্যই ওদলচুয়ার বাসিন্দা রাজেশ মাহাতোর। ঝাড়গ্রা...

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

Image
  বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার হল হকিকত।    বেশ কিছুদিন হলো সোশাল মিডিয়ায় শিক্ষার হাল ফেরানোর জন্য অনেকে নানান রকমের মন্তব্য করেছেন। শিক্ষা এরকম চলতে থাকলে ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত খারাপ হবে, দেশ পিছিয়ে পড়বে, অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হবে ইত্যাদি মন্তব্য করেছেন অনেকে।      কিন্তু যখন থেকে ধাপে ধাপে শিক্ষা ব্যবস্থার একমুখী পরিবর্তন হয়ে আসছে তখন তো এরাই সেই শিক্ষা ব্যবস্থার একমুখী পরিবর্তনকে সমর্থন করেছেন পুরোদমে। তাদের কথায় যারা পরিবর্তন করেছেন তারা নাকি সমাজের তাবড় তাবড় ব্যক্তি, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন উচ্চপদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন বা ছিলেন। তাই সমর্থন করতেই হবে। তারা যা করে ভালোর জন্যেই করেন। একরকম ভাবে সমর্থন করা নিজেদের বোধ বুদ্ধি শিখেই তুলে দেওয়া। আর যারা ঐ  শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিল তাদেরকে সমর্থকরা নানা রকম ভাবে হ্যেয় , অবজ্ঞা, লাঞ্ছনা এমনকি ব্যাঙ্গ পর্যন্ত করে চুপ করানোর চেষ্টা করেছিল।          এখন তাদের বোধ জেগে উঠছে কেন, তা তারা নিজেরাও জানে না, বুঝতেও পারছে না। কারণ তারা ভবিষ্যত চিন্তা করে না, তাদেরকে যা...